
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: দেশের সবচেয়ে সাহসী ও মজলুম সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান সম্পাদিত দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ফেনীর সাহসী ও মজলুম সাংবাদিক এস এম ইউসুফ আলী।
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আক্রোশের শিকার হয়ে দীর্ঘ ১১ বছর বন্ধ থাকা দেশব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয় এ পত্রিকাটি আগামী ২২ ডিসেম্বর থেকে পুন:প্রকাশে আসছেন।তারই অংশ হিসেবে পত্রিকাটির সম্পাদক মাহমুদুর রহমানে সভাপতিত্বে সম্প্রতি নির্বাহী সম্পাদক আবদাল আহমেদ, বার্তা সম্পাদক জাহিদ হোসেন ও মফস্বল সম্পাদক আহমদ করিমের সমন্বয়ে গঠিত একটি বাছাই কমিটি উক্ত পদে এস এম ইউসুফ আলীকে উক্ত পদে নিয়োগের বিষয়টি অনুমোদন করেন।
এর আগে সাংবাদিক এস এম ইউসুফ আলী দৈনিক আমার সংবাদ ও ডেইলি পোস্ট পত্রিকার ফেনী জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দীর্ঘ দুই যুগ ধরে এ জনপদের নানা অনুয়ম-দূর্নীতি সংবাদ প্রকাশ করে ক্ষমতাশীনদের রোষানলে পড়ে সন্ত্রাসী ও আওয়ামী পুলিশ আক্রোশের শিকার হয়ে হামলা এবং আইসিটি আইনে দুটি ও আরও অন্তত দুইজন মামলায় হয়রানি শিকার হয়েছেন।
তারমধ্য একটি মামলায় কারানির্যাতিত এই সাংবাদিক ২০০১ সাল থেকে এ পেশায় কাজ শুরু করেন। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় দৈনিক নয়া পয়গাম এর নির্বাহী সম্পাদক, সাপ্তাহিক নির্ভীক এর প্রথমে নির্বাহী সম্পাদক ও পরে
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, সাপ্তাহিক শমসের নগর এর প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী সম্পাদক, সাপ্তাহিক ফেনী খবর এর নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।কাজ করছেন দৈনিক আজকালের খবর,ডেইলি নিউজ টুডে,মোহনা টেলিভিশন, সম্পাদক,দৈনিক সংবাদ সারাবেলা’র জেলা প্রতিনিধি এবং দৈনিক অধিকার এর ( নোয়াখালী, লক্ষীপুর, কুমিল্লা, চাঁদপুর, ফেনী জেলার ব্যুরো প্রধান হিসেবে সততা, নিষ্ঠা ও সাহসীকতার সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে এসেছেন।
শুরুতে ম্যাসলাইন মিডিয়া সেন্টার (এমএমসি)’র লোকসংবাদ পত্রিকা এবং দৈনিক দেশ বাংলা পত্রিকার দাগনভূঞা উপজেলা প্রতিনিধি, সাপ্তাহিক হকার্সের প্রথমে স্টাফ রিপোর্টার ও পরে বিশেষ প্রতিনিধি, সাপ্তাহিক সুচিতা’র বর্তা সম্পাদক হিসেবেও বিভিন্ন সময় কাজ করছেন।
এর মধ্যে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট কর্তৃক বেশ কয়েকটি প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণ ও ফেনী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকেরও দায়িত্ব পালন করেছেন।সংবাদ প্রকাশের জের ধরে একাধিকবার হামলার শিকার ও একবার কারা নির্যাতিত হয়েছেন। ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের আগে ও পরে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে পুলিশের দেয়া এসব মামলার ৪টিতে এরই মধ্যে বেকসুর খালাস পেয়েছেন। আরও অন্তত ১৯টি মামলায় এখনও নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিয়ে আসছেন।