
নিজস্ব প্রতিবেদক: ফেনী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের মধ্যম কাছাড় গ্রামে ৬৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা সখিনা বেগমের মাথার চুল কেটে নির্যাতনের ঘটনায় ২ নং আসামীকে আইয়ুবকে আজ শুক্রবার, (১৩ জুন) গ্রেপ্তার করেছে ফেনী মডেল থানা পুলিশ।
হামলার প্রধান আসামী সাবেক ইউপি মেম্বার ও আ’লীগ নেতা বেলাল প্রকাশ বেলাল মেম্বার ও তার স্ত্রী নাজমা আক্তার পলাতক রয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১২ জুন) মারধর ও চুল কেটে নির্যাতনের ঘটনায় বৃদ্ধা বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যায় পাওনা টাকা দাবী করায় আইয়ুবের প্ররোচনায় বৃদ্ধার বসতবাড়িতে এসে হামলা চালায় বেলাল মেম্বার ও তার স্ত্রী নাজমা আক্তার।
এসময় বেলাল ও তার স্ত্রী নাজমা বৃদ্ধাকে কিল, ঘুষি আর লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। নাজমা বৃদ্ধার চুলের মুঠি ধরে টানাহেঁচড়া করতে থাকে। বেলাল একটি ধারালো কাঁচি এনে বৃদ্ধার মাথার চুল কেটে দেয়। তারা একটি চৌকাঠ দিয়ে বৃদ্ধার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। একপর্যায়ে চৌকাঠের আঘাতে বৃদ্ধার গলার একটি হাড় ভেঙ্গে যায় ও ডান হাত মারাত্বক জখম হয়।
বৃদ্ধার আত্মচিৎকারে মাগরিবের নামাজ পড়তে আসা মুসল্লি ও স্বজনরা বৃদ্ধাকে বেলাল ও নাজমার হাত থেকে উদ্ধার করে। গুরুতর জখম অবস্থায় বৃদ্ধার স্বজনরা তাকে ২৫০ শয্যার ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা করায়।
বৃদ্ধাকে মারধর ও চুল কর্তনের বিষয়ে ফেনী মডেল থানার ওসি শামসুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় বৃদ্ধা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আইয়ুব নামে এক আসামীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার বাকী দুই আসামী ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বেলাল মেম্বার একজন চিহ্নিত মাদক ও চোরাকারবারি। ধর্মপুর ইউনিয়নের জের কাছাড় সীমান্তে তার মাদক ও চোরাচালানের শক্তিশালি সিন্ডিকেট রয়েছে। বিগত আওয়ামী শাসনামলে তার একচেটিয়া আধিপত্য ছিল এবং বেলাল ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে সে এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালীর আশ্রয়ে আবারো নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে।
বেলাল মেম্বারের বিরুদ্ধে মাদক, ধর্ষণ ও অপহরণ মামলা চলমান রয়েছে। ফেনীর মহিপালে ছাত্র হত্যায়ও তার সম্পৃক্ততা ছিল। জুলাই আন্দোলনে সে ফ্যাসীবাদের পক্ষে সরব ভূমিকা পালন করেছে।