
শহর প্রতিনিধি: ফেনী শহরের কলেজ রোডের শহীদ হোসেন উদ্দীন বিপনি বিতান সংলগ্ন আমিন বিল্ডিংয়ের নিচতলার ৪টি দোকান ভাড়ার নামে জবর দখল করে মোটা অংকের সিকিউরিটি ও ভাড়ার বিনিময়ে তৃতীয় পক্ষের কাছে ভাড়া দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ফেনী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সির আতিকুল ইসলাম ফয়সালের বিরুদ্ধে।
মালিকপক্ষ দোকানগুলো ফিরে পেতে ফয়সালের নামে ফেনী শহর ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এদিকে দোকান জবর দখলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় ফয়সাল আমিন কোম্পানির মেয়ে ফিরোজা সুলতানার বিরুদ্ধে ফেসবুকে বিভিন্ন ফেইক আইডি খুলে নানা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
আমিন কোম্পানি মার্কেটের মালিক ফিরোজার লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, গত ১০ বছর আগে কলেজ রোডের আমিন বিল্ডিংয়ে ফার্মেসী দেয়ার কথা বলে ৪টি দোকান ভাড়া নেয় সাবেক কাউন্সিলর ফয়সাল। পরে মালিকপক্ষকে না জানিয়ে দোকানের সাইজ পরিবর্তন করে বাড়তি সিকিউরিটি ও ভাড়ার বিনিময়ে মস্কো বেকার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দেয়।
এছাড়া ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে মার্কেটের মালিক পক্ষকে দীর্ঘদিন ভাড়া পরিশোধ করেনি ফয়সাল। মালিকপক্ষ ফয়সালের এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করে দোকান ছেড়ে দিতে বলায় ফয়সাল ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন হুমকি ধমকি দিচ্ছে। এছাড়া মস্কো বেকার্সের এমডি মাইন উদ্দীন ফয়সালকেও দোকান ছাড়ার বিষয়ে নোটিশ দিয়েছে মালিকপক্ষ।
দোকান ছাড়তে বলায় মাইন উদ্দীন ফয়সাল ফিরোজাকে হুমকি ধমকি দেয়। ফিরোজা বলেন, তার বাবা আমিন কোম্পানি ফেনীর সর্বত্র সম্মানিত ও পরিচিত ব্যক্তি। তার পরিবারের দোকান জবর দখল করায় ফিরোজা ভূমিদস্যু ফয়সালের উপযুক্ত শাস্তি দাবী করেন।
এ বিষয়ে জানতে সাবেক পৌর কাউন্সিলর ফয়সালের কাছে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। মস্কো বেকার্সের এমডি মাইন উদ্দীন বলেন, তিনি যাবতীয় নিয়ম মেনেই দোকান ভাড়া নিয়েছেন। ফিরোজার সাথে ফয়সালের যে বিরোধ তাতে তিনি জড়িত নন।
ফেনী শহর কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান জানান, ফয়সাল ও মস্কোকে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ১ মাস সময় দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে দোকান না ছাড়লে মালিকপক্ষ যেকোন পদক্ষেপ নিতে পারবে।