
নিজস্ব প্রতিবেদক: শেখ হাসিনাকে কোনভাবেই ছেড়ে দেয়া যাবে না। তাকে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে। এই প্রশ্নে সবাইকে এক হতে হবে। লাখো মানুষের ত্যাগের বিনিময়ে দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। তারা পালাতে বাধ্য হয়েছে। যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটে গেছে, অবশ্যই সেগুলোর বিচার করতে হবে। যদি বিচার না হয়, তাহলে খুন ও গুমকারীরা আরও উৎসাহ পাবে।
বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সোনাগাজী সাবের পাইলট হাইস্কুল মাঠে আয়োজিত সমাবেশে ভার্চুয়ালি তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে প্রত্যাশা করে, যেখানে মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে, গণতন্ত্র থাকবে, স্বচ্ছতা থাকবে; এমন একটি দেশ গড়তে কাজ করতে হবে। শহীদদের আত্মার মর্যাদা দিতে হলে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। এসময় দেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে বিএনপির ৩১ দফার কথা উল্লেখ করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের জন্য বিএনপি আড়াই বছর আগেই সংস্কারের কথা বলেছে। কারণ, বিএনপি বিশ্বাস করতো স্বৈরাচারের বিদায় হবেই। খেয়াল করছি, কিছু মানুষ সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনকে দীর্ঘায়িত করছে।
আমাদের দেখতে হবে, এই সংস্কার, সংস্কার বলা কোনো ষড়যন্ত্র কিনা।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেদিন দেশের মানুষের রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারবো, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারবো এবং জনগণের সরকার উপহার দিতে না পারবো, ততদিন আন্দোলন ও সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। কিছু মানুষ বিএনপিতে ঢুকে বিভ্রান্তি ছড়াতে চাইছে, উল্লেখ করে এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে আহ্বান জানান তিনি।
একই সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের নানা নির্দেশনা দেন। সমাবেশে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবদীন ফারুক, অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ভিপি, যুগ্ম-মহাসচিব শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতসহ “আমরা বিএনপি” পরিবারের উপদেষ্টা ও সদস্য সচিবসহ আরো অনেকেই বক্তব্য রাখেন।
শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও আমরা বিএনপি পরিবারের পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে সোনাগাজীতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার যুবদল নেতা মোহাম্মদ মাসুদের পরিবারের জন্য নির্মিত নতুন ঘরটি উদ্বোধন করেন বিএনপি নেতারা। এছাড়া ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন চলাকালে আহত ও শহীদ পরিবারের মাঝে আর্থিক অনুদান দেয়া হয়।